বিডি ল নিউজঃ ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুটো বিল অব এন্ট্রিতে প্রায় ৬১ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের (সিভিএ) অডিট টিম।
বুধবার অডিটকালে ওই ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটিত হয়। শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের কমিশনার ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগ জানায়, শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিটের একটি দল আজ ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুটো বিল অব এন্ট্রিতে অডিট করে প্রায় ৬১ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি উদঘাটন করেছে।
অডিট অনুসন্ধান অনুযায়ী, ঢাকা কাস্টম হাউসের বিলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাক আমদানিতে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। পণ্যের আমদানিকারক এস এম ট্রেডার্স, ইস্টার্ন প্লাজা, ঢাকা। এই পণ্য তিনি আল আরাফা ব্যাংকে এলসি খুলে ভারত থেকে আমদানি করেন। এগুলোর মূল্য ধরা হয়েছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি পিস ৮ ডলারের পরিবর্তে ৫.৪১ ডলার এবং ১২ ডলারের স্থলে ৩.৯৬ ডলারে শুল্কায়ন করা হয়েছে। ফলে পোশাকের এই চালানে সরকারের প্রায় ২৪.৬০ লাখ টাকা ফাঁকি হয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২৮ টন পাইল ফেব্রিক্স আমদানি করা হয়। ওই পণ্য আনতে চীন থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলা হয়। নথিতে পণ্যের প্রতি কেজি ৩ ডলার হিসেবে শুল্কায়ন করা হয়। অথচ এর নির্ধারিত মূল্য ৪.৭৪ ডলার প্রতি কেজি। এতে সরকারের ৩৬.১৯ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে। পণ্যের আমদানিকারক হোসেন ট্রেডার্স, সামাদ সুপার মার্কেট, চট্টগ্রাম।
এসআরও ভঙ্গজনিত কারণে উভয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান আছে।
Discussion about this post