বৃহস্পতিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবার ছয় লেনে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসলে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
এতে আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, সরকারের অর্জনের তুলনায় প্রচার কম। তবে অপপ্রচার বেশি। এগুলো সোনালী অর্জন। রেকর্ড অর্জন। পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিদেশে অপপ্রচার হচ্ছে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে ঢাকা শহরে দলীয় নেতাদের বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টারের আধিক্য থাকায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের মনের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হবো। যেমন আইনজীবীদের এতো বড় ফোরামে আমরা বার বার ব্যর্থ হচ্ছি।
বিলবোর্ডের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি নতুন দিল্লি থেকে রাজপথে আগ্রা গিয়েছিলাম। আমি একটাও রাজনৈতিক বিলবোর্ড বা রাজনৈতিক পোস্টার দেখিনি। অথচ এ ঢাকা শহরে এসব দেখে আমার লজ্জা হয়। কেন এসব? এটা কী প্রচার? এসব প্রচার তো অপপ্রচার।
‘মানুষ যা পছন্দ করে না, শহরের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করে সেটা কী প্রচার? বিলবোর্ডে-বিলবোর্ডে ভরে গেছে ঢাকা। কেন সবার ছবি ঝোলাতে হবে? ছবি দিয়ে কী নেতা হওয়া যায়’- প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ওহ্ আল্লাহ এসব কী দেখি। ছবিতে ভোট আসবে না। এ শহরকে পরিষ্কার করতে হবে।
পদ্মা সেতু বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে। আর অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং শুরু হবে। এখন চলছে টেস্ট পাইলিং।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। এখন চলছে প্রাক-সমীক্ষা। কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ বছরের শেষে বাংলাদেশ সফরে আসলে আমরা আশা করছি এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে সরকার সমর্থক পেশাজীবীদের সংগঠন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও পরিষদের মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান খান, বদিউজজামান ডাবুল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সম্পাদক ডা. ইকবাল আর্সালান, মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী, প্রকৌশলী নূরুজ্জামান ও মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ।
Discussion about this post