ডেস্ক রিপোর্ট: ভোট শুরুর পর এখন পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ১৮ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ধানের শীষের ১৪, জাতীয় পার্টির ২, স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন।
ঢাকা -১ (দোহার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরগাড়ী প্রতীকের অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর দুপুর ১২টার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলার নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ঢাকা-১৭: ভোট বর্জন করেছেন ঢাকা-১৭ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
তিনি বারিধারায় নিজ বাসায় দুপুর পৌনে ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের কর্তৃক ঢাকা-১৭ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে মারধর করে তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও তার এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিপক্ষ দলীয় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নারী এজেন্টও রক্ষা পায়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন আন্দালিব পার্থ।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনের বিএপি প্রার্থী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি প্রার্থী রোমানা মাহমুদ এবং সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল আলিম ভোট প্রত্যাখান করেছেন। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বর্জনের এ ঘোষণা দেন।
পিরোজপরে -১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা শামীম সাঈদী ভোট বর্জন করেছেন। রবিবার বেলা ১২টার ৩০ দিকে তথ্যটি নিশ্চত করেন।
কক্সবাজার -২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা হামীদুর রহমান আজাদ ভোট বর্জন করেছেন। রবিবার বেলা ১ টার ৩০ দিকে তথ্যটি নিশ্চত করেন।
রংপুর -১ স্বতন্ত্র প্রার্থী পিএম সাদেক ভোট বর্জন করেছেন। রবিবার বেলা ১২ টার ৩০ দিকে তথ্যটি নিশ্চত করেন প্রার্থী নিজেই।
নাটোর-২ (সদর) আসনের লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান সেন্টু নির্বাচন বর্জন করেছেন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে রবিবার দুপুর ১ টায় শহরের কানাইখালি এলাকায় নিজ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী কাজী মশিউর রহমান ভোট বর্জন করেছেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জের খানাবাড়ি এলাকায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
অনিয়ম, জাল ভোট, ভোটকেন্দ্র দখল ও ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম। রবিবার বেলা ১২টার দিকে কারাগারে থাকা জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলামের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাবনা-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা ইকবাল হোসেন ভোট বর্জন করেছেন। প্রার্থী নিজেই সাংবাদিকদের ফোন করে এই তথ্য জানান। ভোট জালিয়াতি, তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি ভোট বর্জন করেছেন বলে জানান।
বাগেরহাট-৩ ( মংলা ও রামপাল) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এবং জামায়াত জেলা নায়েবে আমির মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ রবিবার দুপুর ১২টায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা–শালথা) আসনে বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
খুলনা-৬ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলনা আবুল কালাম আজাদ ভোট বর্জন করেছেন। রবিবার দুপুর ১২ টায় তার নির্বাচনী এজেন্ট এডভোকেট শাহ আলম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের নির্বাচন বর্জন করেছেন। রবিবার সকাল ১১টায় তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
খুলনা-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর পর এবার খুলনা-১ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনীল শুভ রায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
Discussion about this post