সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে করা মন্তব্যের জেরে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় কলামিস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আফসান চৌধুরীকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন অবকাশকালীন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আফসান চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এম আসাদুজ্জামান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল।
এর আগে, অধ্যাপক আফসান চৌধুরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে মানহানিকর ও মিথ্যা অপপ্রচার চালান।
পরে, গত ৭ জুন তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। অধ্যাপক আফসান উদ্দিন চৌধুরী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তার নিজ ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী মামলার এজাহারের উল্লেখ করেছেন, আফসান চৌধুরী তার ওই মিথ্যচারে উল্লেখ করেছেন ‘পিকাসো রেস্টুরেন্টের মালিক অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এ নামটি বলতে গণমাধ্যমের সমস্যা কোথায়?’
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি পিকাসো রেস্টুরেন্টের মালিক নই’।
‘বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছেন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালান তিনি’।
মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ফেসবুকে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালানোর কারণে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। এ কারণে অধ্যাপক আফসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেছি’।
এই মামলায় আজ হাইকোর্টে স্বশরীরে হাজির হয়ে জামিন চান আফনান চৌধুরী। পরে আদালত ৪ সপ্তাহের জামিন দিয়ে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
Discussion about this post