বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অথচ তা মোকাবেলার প্রস্তুতি না নিয়ে নেতাকর্মীরা পদের জন্য তদবির নিয়েই বেশি ব্যস্ত। এমন মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাচ্ছেন, প্রতিদিন এই খবরটা গণমাধ্যমে আসছে। কিন্তু নেতাকর্মীদের সিভি দেয়া বন্ধ হয়নি। কিছু হওয়ার জন্য, পদের জন্য তদবির থেমে নেই।’
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির এক যৌথসভায় এ কথা বলেন গয়েশ্বর।
আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যাকে ছাড়া দল চলবে না, তার বিপদ আসতে পারে, অথচ সে জন্য আমরা কিছু করি না। আমরা পদের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতেছি। মানত করতেছি, মাজারে মাজারে যাচ্ছি। অথচ আজ পর্যন্ত শুনলাম না সঙ্কট মোকাবেলার জন্য অমুক নেতার বাসায় বৈঠক হয়েছে।সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ম্যাডামের কিছু হলে কী করা হবে, সেই আলোচনা কোথাও নেই। কাকে উপরে নিবে, কাকে কী দিবে, কী দিবে না- সেই আলোচনা হচ্ছে।’
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নিতে অনেক পরিকল্পনা করতে পারে। কিন্তু সব পরিকল্পনা আসলে বাস্তবায়ন হয় না, যদি না আমরা সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ সৃষ্টি করে না দিই। এটা আমাদের জন্য সঠিক কাজ হবে না।’
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আগামী ৩০ মে জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির চেতনাকে শাণিত করতে হবে।’
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
এতে বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশার, তাঁতী দলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ নগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নগরের বিভিন্ন থানার সভাপতি-সেক্রেটারিরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post