কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যায় এখন পর্যন্ত চার সেনা সদস্যসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা।
কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নাজমুল আলম খান বলেন, “শনিবার ক্যান্টমেন্ট বোর্ডের সিও মনির হোসেন ও এক কর্পোরালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।” “সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।”
এর আগে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সেনানিবাসের তিন সেনা সদস্যকে সিআইডি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তনুর এক বান্ধবী ও ভাই আনোয়ার হোসেন রুবেলের এক বন্ধু ও বাবা ইয়ার আহমেদের সহকর্মী ইসমাইল হোসেনকে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডে চার সেনা সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। যারা তনু ‘হত্যাকাণ্ডস্থল’ থেকে লাশ উদ্ধার করে সামরিক হাসপাতালে নেওয়ার সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বলে জানিয়েছেন সিআইডি কর্মকর্তারা।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাত ১২টায় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আখন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “মামলায় অগ্রগতি রয়েছে। মামলার রহস্য উদঘাটিত হবে বলে আশাবাদী সিআইডি।”
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা।
প্রথম দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত না মেলার কথা বলা হলেও কবর থেকে লাশ তুলে ইতোমধ্যে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে।
এ ঘটনায় তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসনের করা মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও ২৫ মার্চ ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ৩০ মার্চ মামলাটি আবার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ২১ দিন পরও এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে না পারায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ-মানববন্ধন চলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
Discussion about this post