সোমবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বনাঞ্চলের বেরিবাইদ এলাকার আয়নাল মেম্বারের টং ঘরের পাশের বনে ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
এদিকে, ধর্ষক দুই যুবক স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। তবে উপজেলা ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন যুবলীগ তা অস্বীকার করেছে।
আটক দুই ধর্ষক হলেন, উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের জলছত্র এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৪) এবং একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৩)।
পুলিশ জানায়, পৌর এলাকার দুর্গাপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী তার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে সকালে অরণখোলা ইউনিয়নের ঘুঘুর বাজার এলাকায় কবিরাজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে দুই ধর্ষক আরিফুল ও আমিনুল তাদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে ওই দুই যুবক মেয়েটির ভাইকে আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
পরে মেয়েটির ভাই মুক্ত হয়ে বন থেকে বেরিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টহল পুলিশকে বিষয়টি জানান। এরপর অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে বন থেকে খোঁজাখুজি করে মেয়েটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে দুই ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ধর্ষকরা যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা কিনা তা তিনি জানেন না বলে জানান।
এদিকে, স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ধর্ষক আরিফুল অরণখোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও আমিনুল যুবলীগের সদস্য।
তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবলু ছাত্রলীগের সঙ্গে আরিফুলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে অরণখোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজির হোসেনও যুবলীগের সঙ্গে আমিনুলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন।
Discussion about this post