চিকিৎসক তসলিমা গত শতকের ’৯০ এর দশকে লেখালেখি শুরুর পর আলোচনায় উঠে আসেন। বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে উপন্যাস ‘লজ্জা’ প্রকাশের পর মৌলবাদীদের হুমকি ও ব্যাপক হৈ চৈয়ের মধ্যে ১৯৯৪ সালে দেশত্যাগে বাধ্য হন তিনি। এরপর বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন এই লেখিকা।
তসলিমা নাসরিন
২০০৪ সালে ভারত রেসিডেন্ট পারমিট ভিসা দেয় তসলিমাকে। পরে তা বাতিল হলেও ২০১৪ সালের শেষ দিকে এসে ফের থাকার অনুমতি দেয় ভারত।ক্রমাগত জঙ্গি হুমকির মুখে একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় সম্প্রতি ভারত ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছেন তসলিমা।
নির্বাসিত এই লেখিকা দেশের ফেরার জন্য সহযোগিতা চাইলে মানবাধিকার কমিশন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, “তসলিমা নাসরিন অথবা দাউদ হায়দাররা যদি মনে করেন যে তারা রাষ্ট্রের কাছে প্রত্যাশিত সহায়তা পাচ্ছেন না, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তারা দেশে ফিরতে ইচ্ছুক কিন্তু ফেরার ব্যাপারে সরকারের যে ধরনের পদক্ষেপ অবলম্বন করা প্রয়োজন তা দেখতে পাচ্ছেন না, তাহলে তারা যেন আমাদের ( মানবাধিকার কমিশন) অবহিত করেন যাতে আমরা তাদের মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াই।
“বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি মনে করেন যে তার বৈধ অধিকার ভোগ করা থেকে অহেতুক বা অবৈধভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং তিনি বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন-এ ধরনের তথ্য লিখিত আকারে মানবাধিকার কমিশনকে জানানো হলে তার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা দ্বিধা করব না।”
মিজানুর রহমানের মেয়ে অর্পিতা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে আইনে স্নাতকোত্তর করেছেন।সে উপলক্ষে বস্টনের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তিনি।
শুক্রবার দেশের উদ্দেশ্যে তার নিউ ইয়র্ক ছাড়ার কথা।
Discussion about this post