নগরীর ইপিজেড এলাকায় শিশু তানিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় আটক আমির হোসেন (২২) আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, আমির হোসেনকে পুলিশ বিকেলে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন জানায়। মহানগর হাকিম রহমত আলী তার ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তিন পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে আমির হোসেন ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে নিয়েছে।
তানিয়া নগরীর ইপিজেড এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়তো। গত ১৩ নভেম্বর ধর্ষণের সময় শিশটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আমির হোসেন। শুধু তাই নয় ধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ গুম করতে বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হয় পুকুরে।
এ ঘটনায় বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ট্রাকচালক আমির হোসেনকে (২২) নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বন্দর) জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম তাকে নেত্রকোণার মদন থেকে গ্রেফতারের পর ইপিজেড থানায় নিয়ে আসে। গ্রেফতারের পর আমির জানায়, ধর্ষণের সময় চিৎকার করবে এ আশঙ্কায় সে শিশুটির মুখ চেপে ধরে। এ অবস্থায় একসময় নিথর হয়ে পড়ে শিশু তানিয়া।
তানিয়ার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হলেও সে নগরীর ইপিজেড থানার নারিকেল তলা এলাকায় মামার বাসায় থেকে পড়ালেখা করতো।
Discussion about this post