নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি-না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের ইসির প্রতি অনুরোধ জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা জাতির কাছে বলতে পারি যে একজন দণ্ডিত, পলাতক আসামি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে কি-না? একটা দিক হচ্ছে, আমি জাতির কাছে এর বিচার চাইছি। আরেকটা হচ্ছে, ইলেকশন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, দু’টি মামলায় একটিতে সাত বছর এবং আরেকটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত একজন বিদেশে আছেন, পলাতক- এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে কি-না, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
বিভিন্ন জরিপে যারা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন তারাই আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনয়ন পাবেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নমিনেশনটা দিয়েছি জরিপ রিপোর্টের ভিত্তিতে। যাদের ছয় মাস আগেও খারাপ ছিল তারা হয়তো এখন ভালো হয়েছে, তাই তাদের নমিনেশন দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে আগে যারা জনপ্রিয় ছিল তাদের মধ্য থেকে বাদ পড়েছে কম।
শরিকদের কত আসন দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যেটা বলেছেন তা হলো ৬৫ থেকে ৭০টি আসন শরিকরা পাবেন। আলোচনা করে যদি মনে হয় ইউনিবল প্রার্থী তাদের বেশি তাহলে সেটা বাড়ানো যেতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেমন ধরুন মাশরাফি বিন মর্তুজাকে মনোনয়ন দিলে যিনি সেখানে এখন ইলেকটেড প্রার্থী আছেন তাকে নমিনেশন দেওয়া যাবে না। তাছাড়া ১৪ দলের ইলেকটেড যারা আছে তাদের বাদ দেওয়ার চিন্তা নেই। যদি একান্ত কারও পজিশন খারাপ হয় সেটা ভিন্ন কথা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জরিপ অনুসারে কেউ ইলেকটেবল না হলে সে ১৪ দল হোক আর যেই হোক তাকে নমিনেশন দেওয়া হবে না।
নির্বাচন কতটুকু ফেয়ার হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এর আগে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তার চেয়ে এবার আরও ভালো নির্বাচন হবে। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে। শতভাগ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু কোনো দেশেই হয় না। তবে ভালো নির্বাচন হবে।’
জরিপের ফলাফল বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখুন ছয় মাস বা তিন মাস আগের জরিপ এখন ঠিক নেই। তবে আমাদের অনেকে সে সময় পিছিয়ে ছিল, এখন তারা অনেকে এগিয়ে গেছে। বিরোধী দল কত সিট পাবে বা আমরা কত সিট পাবো এভাবে বলতে চাই না। তবে আমরা বিজয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
নির্বাচনী ইশতেহার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাবে না। জোটের দলগুলো আলাদা আলাদা ইশতেহার প্রকাশ করবে। তবে সবকিছু প্রকাশ হলেই বলা যাবে। তবে প্রধানমন্ত্রী নিজেই ইশতেহার প্রকাশ করবেন এটার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও এখনও তারিখ হয়নি।
Discussion about this post