বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রকাশিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) ৮২ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশের পর তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর ২১ জুলাই মানি লন্ডারিং (মুদ্রাপাচার) অপরাধের মামলায় তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একইসঙ্গে তার বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে নিম্নআদালতের সাত বছর দণ্ড বহাল রেখে ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়।
এই মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে আসামি তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়।
লন্ডন প্রবাসী তারেক না ফেরায় তার বিরুদ্ধে সমন জারি করে তা তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও তিনি সাড়া দেননি। সবশেষ তারেকের বিরুদ্ধে দুদকের করা ওই আপিল এবং সাজার রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলটি শুনানির জন্য তালিকায় আসে। এরপর চলতি বছর হাইকোর্টে ৪ মে আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। যা শেষ হয় ১৬ জুন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে।
আর গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য। জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মামুন কারাগারে আছেন।
Discussion about this post