“তালাক নোটিশ”
তারিখঃ ১৮/০৭/২০১৬ ইং
বরাবর,
চেয়ারম্যান
সালিশী পরিষদ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
ঢাকা।
বিষয়ঃ মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৭ (১) ধারার নিয়ম অনুযায়ী স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ।
জনাব,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আপনাকে অবহিত করছি যে, আমি, রফিকুল ইসলাম (বয়স ৩৯ বছর) পিতা- আব্দুল রহিম, মাতা- জরিনা খাতুন, বর্তমান ঠিকানাঃ উদয় রোড, বাংলো বাড়ি, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা। বিগত ১০/০৮/২০১০ ইং তারিখ মোসাঃ ফরিদা খাতুন (বয়স ২৫), পিতা- মৃত আঃ জব্বার, সাং- বর্তমান- ৬৭ জয়নাগ রোড, থানা- লালবাগ, জেলা- ঢাকা, স্থায়ী ঠিকানা- আজমনগর, পোঃ রশিবাড়ি, থানা- ধামরাই, জেলা- ঢাকা, এর সহিত মুসলিম শরিয়াহ্ অনুযায়ী ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়,যাহার মধ্যে ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জেওর/গহনা বাবদ ওয়াশিল করিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই এবং উক্ত একই তারিখে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রেশন) আইন, ১৯৭৪ এর বিধান অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রি করিয়া সুখে শান্তিতে সংসার করতে থাকি। বিবাহের পর থেকে মোসাঃ ফরিদা খাতুন আমার সাথে খারাপ আচরন করিতে থাকে। প্রায় সময় আমার স্ত্রী বিনা কারনে আমার সাথে ঝগড়া বিবাদ করে আমাকে না বলে বাবার বাড়ী চলে যায়। আমাদের দাম্পত্য জীবনে এখন পর্যন্ত কোন সন্তান-সন্ততি হয়নি। পারিবারিকভাবে তাকে অনেক বোঝানোর পরও তার ব্যবহারের কোন পরিবর্তন হয় নি। বিগত ০৪/১১/২০১৫ ইং তারিখ আমাকে কিছু না বলে মোসাঃ ফরিদা খাতুন তার বাবার বাড়ীতে চলে যায়। আমি তাকে ফিরিয়ে আনতে গেলে আমার সাথে খুব খারাপ আচরন করে এবং বলে যে, সে আমার বাড়ীতে আসবে না এবং আর এ বিষয়ে কিছু বললে আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকী দেয়।
এছাড়া আমি আমার স্ত্রীকে খুশি রাখার জন্য ডিসেম্বর’২০১৫ হতে জুন’২০১৬ পর্যন্ত প্রতি মাসে ভরণপোষণ বাবদ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা প্রদান করে আসছি, কিন্তু তারপরও তারা আজ পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান করার জন্য কোন নুন্যতম কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। উল্টো আমার নামে তারা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা এ একটি যৌতুকের মিথ্যা মামলা করে (যাহার সি.আর. মামলা নং-……../১৫), এছাড়া তারা পরবর্তীতে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা এবং আরও অন্যান্য ধরনের ফৌজদারী ও পারিবারিক আইনে মিথ্যা মামলা করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করিতেছে। এত কিছুর পরও পরবর্তীতে তাকে আনার জন্য বহুবার অনুরোধ করেছি ও দেখা করেছি, কিন্তু সে কিছুতেই আমার বাসার ফিরে আসার জন্য রাজী না তাই আমি নিরুপায় ও অসহায় হইয়া আমার স্ত্রীর বিভিন্ন রকম অন্যায় আচরন ও খারাপ ব্যবহার আর সহ্য করতে না পেরে এবং উপরোক্ত কারনে অদ্য ১৮/০৭/২০১৬ ইং তারিখ নিম্নলিখিত স্বাক্ষীগনের সম্মুখে আমার স্ত্রীকে তিন/বায়েন তালাক প্রদান করিয়া তাহার সহিত বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করলাম। বিষয়টি আপনার অবগতির জন্য প্রেরিত হলো।
নিবেদক,
রফিকুল ইসলাম
পিতা- আব্দুল রহিম
মাতা- জরিনা খাতুন
উদয় রোড, বাংলো বাড়ি, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।
কপি প্রেরিত হলোঃ
মোসাঃ ফরিদা খাতুন (বয়স ২৫), পিতা- মৃত আঃ জব্বার, সাং- বর্তমান- ৬৭ জয়নাগ রোড, থানা- লালবাগ, জেলা- ঢাকা
স্বাক্ষীগনের নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ রবিউল আলম
পিতা- আঃ রজব আলম,
জাফরাবাদ, রায়ের বাজার,
থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।
২। মোঃ গিয়াস উদ্দিন
২৯৩/১, জাফরাবাদ, রায়ের বাজার,
থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।
****বোঝার সুবিধার্থে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
লেখক: অ্যাড. এ বি এম শাহজাহান আকন্দ (মাসুম)
ইমেইল- law.abm@gmail.com
Discussion about this post