ডেস্ক প্রতিবেদনঃ তুচ্ছ,ঠুনকো বিষয়কে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করা অপসংস্কৃতি হিসেবে চালু হয়েছে ।ছাত্রলীগের আন্দোলন,সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, এমনকি শিক্ষকদের আন্দোলনেও একাডেমিক ভবন,প্রশাসনিক ভবন,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, উপাচার্য কার্যালয়, সর্বশেষ উপাচার্যের নিজস্ব বাস ভবনে বিভিন্ন দাবী-দাওয়ার দাবীতে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ।
শিক্ষক ডরমেটরিতে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা প্রদান, প্ল্যানিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ ব্যতিত সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করাসহ ৪ দফা দাবিতে ৭ মার্চ থেকে ফের আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষক সমিতি ।ক্যাম্পাস সুত্রে জানা যায়, গতকাল (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব নির্ধারিত সিন্ডিকেট সভা বন্ধ করার চেষ্টা করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার সকালে উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় অংশগ্রহণ করতে আসা সিন্ডিকেট সদস্যরা শিক্ষকদের বাধার সম্মুক্ষীণ হন । সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নানের গাড়ী ভিসি বাংলোর সামনে আসলে শিক্ষকরা গেইট এ তালা লাগিয়ে দেয়,পরে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সহায়তায় ইউজিসির চেয়ারম্যানসহ অনন্য সিন্ডিকেট সদস্যগণ উপাচার্যের বাসায় প্রবেশ করেন ।ইউজিসির চেয়ারম্যান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাথে কথা বলতে আসলে শিক্ষকরা তার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং ক্ষুব্ধ ইউজিসির চেয়ারম্যান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন দুটি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন।সিন্ডিকেট সভা শেষ করে ইউজিসির চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পর দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফের তালা লাগিয়ে উপাচার্য কে প্রায় ৯ ঘন্টা তার বাস ভবনে আটকে রাখেন শিক্ষকরা । রাতে পুলিশ প্রশাসন এসে শিক্ষক সমিতির সাথে কথা বলে উপাচার্যের বাসার তালা খোলার ব্যবস্থা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আরেকটি পক্ষ শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে দাবী করছে । তারা অভিযোগ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রত্যেক উপাচার্যের শেষ বছরে মুষ্ঠিমেয় কিছু শিক্ষক ফায়দা হাসিলের জন্য উপাচার্যের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক দাবী নিয়ে আন্দোলন করেন । এর ধারাবাহিকতায় এ উপাচার্যের শেষ বছরে আবারো মুষ্ঠিমেয় কিছু সুযোগ সন্ধানি শিক্ষক আন্দোলনে নেমেছে ।সংকট নিরসনে তারা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ।
জানতে চাওয়া হলে কুবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ বিডি ল নিউজ কে বলেন, ‘আমাদের কে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে ভিসি এবং শিক্ষক বিরোধী কোন আন্দোলনে যাতে ছাত্রলীগের অংশ গ্রহন না থাকে তবে গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের নির্দেশনা দিয়েছিল ইউজিসি চেয়ারম্যান কে নিরাপত্তা দিতে তাই আমরা ছিলাম’।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বিডি ল নিউজ কে বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন ।বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বিচারহীনতার প্রক্রিয়া চালু করে উপাচার্যের ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরোক্ষ ভাবে মদদ দিচ্ছেন তাই আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি ।আন্দোলনে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্লাস পরিক্ষা চালু রেখে আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাব’ ।
Discussion about this post