হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্স ইনস্টিটিউটসহ (এইচবিআরআই) তিনটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অপর দু’টি আইন হলো- চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ভেটিরিনারি কাউন্সিল আইন।
আজ সোমবার (০২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিয়মিত সভা এ তিনটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের পরিচালকের পদকে আপগ্রেড করে ‘মহাপরিচালক’
১৯৭৭ সালের সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বাংলায় পরিবর্তন করে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্স ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৬ হিসেবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পরিবর্তনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পরিচালকের পদকে আপগ্রেড করে ‘মহাপরিচালক’ করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটির গঠন প্রক্রিয়া একটু রি-অ্যারেঞ্জ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরিচালনা পরিষদে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী (গৃহায়ন ও গণপূর্ত) যিনি দায়িত্বে থাকবেন তিনি চেয়ারম্যান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব হবেন ভাইস-চেয়ারম্যান।
এই কমিটি হবে ২০ সদস্য বিশিষ্ট, তারা দু’বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। কমিটি বছরে দু’বার সভা করবে।
প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো হলো, ইমারতের নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ ও উপকরণ শিল্প এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার উপর কারিগরি, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও গবেষণা পরিচালনা। এছাড়া দেশজ নির্মাণ উপকরণের প্রাপ্যতা, উন্নয়ন ও গবেষণা, বহুল প্রচলিত নির্মাণ উপকরণের নতুন ও উন্নত ব্যবহার উৎসাহিতকরণ, গৃহায়ন খাতে ভূমিকম্প সহনীয় নির্মাণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন, স্বল্প খরচে নির্মাণ ডিজাইনসহ ১৭টি কাজ দেওয়া হয়েছে।
তবে গবেষণা সংক্রান্ত কাজই হলো মূল কাজ।
আর ইনস্টিটিউটের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হবেন মহাপরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদ মনোনীত চারজন প্রতিনিধি।
‘বাংলাদেশ ভেটিরিনারি কাউন্সিল আইন, ২০১৬’
১৯৮২ সালের একটি অধ্যাদেশ আদালতের নির্দেশনায় বাংলায় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি জানান, ভেটেরিনারি কাউন্সিল এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ১৫০ জন ভেটিরিনারি সার্জনকে গ্রাজুয়েটকে নিবন্ধন দিয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে। পেশাদারী এ প্রতিষ্ঠানকে আগের গঠনের ফরমেশনে আনা হয়েছে।
Discussion about this post