নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে হত্যার ঘটনায় তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজ সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক, যশোরের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক এবং যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ও প্রবেশন অফিসারকে রেজিস্ট্রি ডাকে এ নোটিশ পাঠান।
পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত কিশোর পারভেজ হাসানের (১৬) বাবা রোকা মিয়া, নাইম হাসান ওরফে আবু নাইমের (১১) বাবা মো. নান্নু এবং মো. রাসেল ওরফে সুজনের (১৭) বড় ভাই সাইফুল ইসলাম নান্টুর পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল শিশু/কিশোরদের রক্ষা করা। কিন্তু তারা তা না করে শিশুদের হত্যা করেছে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দিদের মারপিট করা হলে তিন কিশোর নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করে।
পরে গত ১৪ আগস্ট গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আবদুল্যা আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলমকে পাঁচ দিনের ও সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুককে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান। এদিকে ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
Discussion about this post