রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিক বাজার জুতার ফ্যাক্টরির কর্মচারী আলমগীর হোসেনকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে তিন ছিনতাইকারীকে মৃত্যুদণ্ডর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে প্যানাল কোডের ৩৪১, ৩৯২ ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া প্যানাল কোডের ৩৪১ ধারায় দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- জনি (২৬), হাসান (২০) ও মনির হোসেন। হাসান ও মনির হোসেন পলাতক রয়েছেন। তিন আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার ভিকটিম আলমগীর হোসেন গুলশানের সিদ্দিক বাজারে জুতার ফ্যাক্টরির কর্মচারী ছিলেন। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় ২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট কাজ করার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। কাজ শেষে পরের দিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি ও তার ভাতিজা মঞ্জুর হোসেন বাসায় ফিরছিলেন। নতুন শ্যামপুর হাইস্কুল রোড সহিদ মোল্লার বাড়ীর বিপরীত এলাকায় ৩/৪ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে এবং সব কিছু দিয়ে দিতে বলে। আলমগীর দিতে না চাইলে চাকু দিয়ে তাকে আঘাত করেন। বাধা দিলে আলমগীরকে গলা কেটে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।
ওই ঘটনায় আলমগীরের স্ত্রী লায়লা আক্তার বাদী হয়ে রাজধানীর কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মানছুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৯ জনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৪ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
Discussion about this post