স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের নেওয়া হয় থানা হাজতে। সেখানে আসামিদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে মূল আসামি হত্যা করেন আরেক আসামিকে।
ভারতের হিমাচল প্রদেশে গতকাল বুধবার এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত আসামির নাম সুরাট সিং। আর ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামি রাজিন্দর সিং।
পুলিশ জানায়, থানা হাজতে রাজিন্দরের সঙ্গে হাতাহাতি হয় সুরাটের। একপর্যায়ে সুরাটের মাথা ধরে মেঝেতে আছড়ে মারেন রাজিন্দর। এতে সুরাটের মাথায় আঘাত লাগে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে স্থানীয়রা থানা হাজতে হামলা চালায়। ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ৪ জুলাই ১৬ বছরের ওই কিশোরী স্কুল থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিজের গাড়িতে ওঠায় রাজিন্দর। পথে গাড়িতে থাকা আরও কয়েকজন মিলে আপেলবাগানে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। দুদিন পর তার লাশ পাওয়া যায়।
আসামিরা অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের ধরা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করে মেয়েটির পরিবার। আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রদেশের রাজধানী সিমলায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। পরে গত সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে সিবিআইকে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিতে বলা হয়। আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবে সিবিআই।
-এনডিটিভি অনলাইন
Discussion about this post