প্যারিসের থিয়েটার হল বাতাক্লঁ তখন নরকে পরিণত হয়েছে। হলের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে জিম্মিদের ধরে ধরে জবাই করা হচ্ছিলো। নৃশংসতার জঘণ্যতম নাটকের দৃশ্যায়ন যেন চলছিলো সেখানে।
বাতাক্লঁ থিয়েটারে তখন চলছিলো রক কনসার্ট। সেখানে হঠাৎই শত শত মানুষ হামলাকারীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়লেন। জিম্মিদের একজন বেঞ্জামিন ক্যাজোনোভেস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘ওরা একের পর এক জনকে জবাই করছে। অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েছে।
বেঞ্জামিন অপর এক পোস্টে লেখেন, ‘জীবন্ত জবাই করা হচ্ছে…ভয়াবহ পরিস্থিতি, চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ’।
জিম্মিদের মুক্ত করতে ফরাসী বাহিনী যখন থিয়েটার ভবনটি ঘিরে ফেলে, তিন আত্মঘাতী হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ বিস্ফোরণে চার পুলিশ নিহত হন। এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয় চতুর্থ হামলাকারী।
প্যারিসের ডেপুটি মেয়র প্যাট্রিক ক্লুগম্যান বলেছেন, শুধুমাত্র থিয়েটার ভবনেই নিহত হযেছেন ১১৮ জন। এছাড়া রেস্টুরেন্ট ও ফুটবল স্টেডিয়ামের বাইরের হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অনেকে। স্টেডিয়ামটি বাতাক্লঁ হল থেকে পাঁচ মাইল দূরে অবস্থিত।
শুক্রবার রাতেই হামলাকারীদের সবাইকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে চারজন নিহত হয় থিয়েটার হলে। আর জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষের কিছু পরই স্তেদে দ্য ফ্রান্স স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হয় দু’জন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ফরাসী বাহিনীর অভিযানে ১২৫ জিম্মিকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
Discussion about this post