সাইফুল, পটিয়া প্রতিনিধি: পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধের ১৪তম দিনেও পালন হচ্ছে না। তবে গতকাল রাতে পটিয়ার কলেজবাজারে যাত্রিবাহি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে ১০জন আহত হয়েছে | বিশেষ করে সাবেক সদর মহকুমা পটিয়ায় দূর পাল্লার ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। সরেজমিনে ঘুরে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পটিয়া বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। এছাড়াও চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে বিএনপি ২ জন কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি গাজী শাহাজাহন জুয়েল ও সৈয়দ সাদাত আহমদ থাকা স্বত্বেও আন্দোলন সংগ্রামে তাদেরকে মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান। মাঝে মধ্যে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি পটিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়ার নেতৃত্বে কিছু আন্দোলন সংগ্রামে দেখা মিললেও তার অনুসারীদের দাবি বেশির ভাগ তিনি জেলার বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে মিছিল মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ কারণে মাঝে মধ্যে পটিয়ায় আন্দোলন সংগ্রাম অবরোধে কম সময় দিতে পারছেন বলে তার অনুসারী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এস এম সুমন, এস এম রুবেল, মোঃ রহিম জানান। এছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলায় বিএনপি কোন নেতাকর্মীকে মাঠে ময়দানে অবরোধের কর্মসূচি পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। অবরোধের ১৪দিনেও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা রহস্যজনক ভূমিকা তৃণমূল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের আওতায় বান্দরবান জেলা ও কক্সবাজার জেলা থেকে ভারী যানবাহন পটিয়ার উপর মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। এতে নির্ভিঘ্নে বোঝা যাচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার টানা অবরোধের কর্মসূচি নিজ দলের নেতাকর্মীরা মানছে না। এছাড়াও সাধারণ মানুষ এমনিতে তিক্ত-বিরক্ত। দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল করতে হলে এবং বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তর করতে হলে বড় রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের বিকল্প নেই বলে সচেতন মহলের অভিমত। তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় এর বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষের যানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জ্বালাও-পোড়াও-হরতাল-অবরোধ-গাড়ি ভাংচুর-অগ্নি সংযোগকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার আহবান জানান।
Discussion about this post