যে ৬টি শব্দ দাম্পত্য ঝগড়ার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে-
কিছু না:
‘কিছু না’ শব্দটির মাধ্যমে শব্দযুদ্ধের সূচনা হয়। ঝগড়ায় ‘কিছু না’ শব্দটি ব্যবহৃত হওয়া মানে আরও অনেক অপ্রত্যাশিত শব্দকে জায়গা করে দেওয়া। ‘কি সমস্যা’ এর উত্তরে ‘কিছু না’ শব্দটি আসে। সমস্যা হচ্ছে অথচ সমস্যার বিষয়টি খুলে না বলে এড়িয়ে যাওয়া মানে ঝগড়াকে আরও উষ্কে দেয়া।
সিরিয়াসলি?:
কন্ঠে বিরক্তি আর অবিশ্বাস নিয়ে যখন সঙ্গীর কাছে জানতে চাওয়া হয় ‘সিরিয়াসলি?’, তখন সঙ্গীর ঠান্ডা মস্তিষ্কও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। উপহাস করে এই শব্দটি ব্যবহার না করে নম্রভাবে বললে ঝগড়া সহজেই মিটে যেতে পারে।
যাহোক:
যাহোক শব্দটি নিঃসন্দেহে একটি আক্রমণাত্মক শব্দ। ঝগড়ার প্রভাবে সঙ্গীর দূর্বল স্নায়ুকে আরও দূর্বল করে দেয় শব্দটি। এতে কোন সমাধান নেই, বরং আছে যুক্তিহীন ভাবে অন্যের যুক্তিকে থামিয়ে দেয়ার ক্ষমতা।
কিছু মনে করো না:
এই শব্দটিকে এক নজরে ‘কিছু না’ শব্দের প্রতিশব্দ মনে হতে পারে। আসলে এটি ‘কিছু না’ এবং ‘যাহোক’ শব্দ দুটির সমান তীব্র। শক্তিশালী একটি ঝগড়াটে শব্দ এটি। ‘কিছু মনে করো না’ শব্দের মানে হচ্ছে, দোষ থাকলেও আমার কিছু যায় আসে না। কাজেই এই শব্দটি ঝগড়াকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
ভালো:
ঝগড়ার সময় ‘যাহোক’ এর মতো ‘ভালো’ একটি দায়িত্বহীন শব্দ। এটি আসলে উপহাসমূলক আচরণ। যা সঙ্গীর মধ্যে প্রচন্ড বিরক্তির সৃষ্টি করে। কোন ব্যাপারে বনিবনা হচ্ছে না বিধায় দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। আর ঝগড়ার সময় কি না সেই বিষয়টিকে এক কথায় ভালো বলে উড়িয়ে দেয়া হয়!
শান্ত হও:
ঝগড়ার সময়ে এই শব্দের ব্যবহার ইতিবাচক নয়, বরং নেতিবাচক। তুমুল বিতর্কের সময় বিরক্তি নিয়ে ‘শান্ত হও’ বলা মানে দ্বন্দ্বের সম্পূর্ণ বিষয়টিকে এড়িয়ে চলা এবং সঙ্গীর সমস্যাকে তার কাছেই চেপে রাখতে বলা। অন্যান্য শব্দযুদ্ধের মতো এই শব্দটিও সঙ্গীর ক্রোধকে বাড়িয়ে দেয়।
Discussion about this post