মাদারীপুর প্রতিনিধি: দায়িত্বে অবহেলার কারণে কালকিনি উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে সারা দেশের সঙ্গে মিল না রেখে ‘খ’ সেটের বদলে ‘ক’ সেটে এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা নেয়ায় মাদারীপুরের কালকিনির ইউএনও এবং কেন্দ্র সচিবসহ চারজনকে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা প্রশাসক।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমকে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার সারা দেশে এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্রে ‘খ’ সেটের বদলে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ৩ হাজার ৮৪ জন পরীক্ষার্থীর ‘ক’ সেটে পরীক্ষা নেয়া হয়। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে উপজেলায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ কারণে কালকিনি উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটককে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেখানে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা তানজিল মুমুকে বাকি সব পরীক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়।
সেই সঙ্গে এ ঘটনায় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের কেন্দ্র সচিব হাসানুল সিরাজী, ডাসার সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের কেন্দ্র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও ডিকে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র সচিব মমতাজ বেগমকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post