একে.এম নাজিম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, বিডি ল নিউজঃ ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচি যতই দীর্ঘ হচ্ছে ততই নেতাকর্মীরা হাটহাজারীতে নিশক্রীয় হয়ে পড়ছে। নেতার দেখা পাচ্ছো না কর্মীরা। কর্মীরা পচ্ছেনা নেতার দেখা। এসব মিলে হাটহাজারী উপজেলার বিএনপির অবস্থা বর্তমানে যেন হ য ব র ল।
সরকার বিরোদী আন্দলনের ২০১৪ সালে হাটহাজারীতে তেমন বড় কিছু না ঘঠলেও ২০১৫ সালের বিএনপি জামায়াতের তান্ডবে নিস্বঃশ হয়ে পড়ে দুটি তাজা প্রাণ ও তাদের পরিবার এবং আহত হয় অনেকেই। আবার বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির সম্মূকে পড়ে গাড়ির মালিকরা । হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি জামায়াত গাড়ি ভাংচুর, গাড়িতে পেট্ট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ কিছু কিছু ঘটনা ঘটালেও কেবল মাত্র তাদের রাজনৈতিক দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের দেখানোর জন্য।
একাদিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ এ জানুয়ারী থেকে হাটহাজারীতে সরকার বিরোদী আন্দোলনে নেতাকর্মীরা একে বারে নিস্বঃশ হয়ে পরে। থানা পুলিশের মামলায় বর্তমানে বহুনেতা কর্মী বিদেশে পাড়ি জমায়। অনেকেই পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে বাংলাদেশের এক জেলা হতে অন্য জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার অনেকেই সরকার দলীয় নেতা কর্মীর সাথে গোপনে সুসর্স্পক গড়ে তুলে। হাটহাজারীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন প্রভাবশালী নেতা থাকলেও নেই কোন সরকার বিরোদী আন্দোলানের কার্যকক্র। এই হেভিয়াট তিন নেতা থাকলেও নেই কোন চাঙ্গা আন্দোলন। হাটহাজারীর গুরুত্ব পূর্ণ সড়ক গুলোতে বিএনপি জামায়াত মিছিল মিটিং করতে পারছেনা। গ্রাম অঞ্চলের রাস্তায় মিছিল মিটিং করে তারা পত্রিকায় প্রকাশ করছে। বিএনপি জামায়াতের কেন্দ্রীয় কোন কর্মসূচী পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।
জানা যায়, হাটহাজারীতে ২০ দলীয় জোটের মধ্যে বিএনপি জামায়াত ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ত তেমন নেই বললে চলে। অন্য দিকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাটহাজারীতে কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকলেও মাঝে মধ্যে কল্যাণ পাটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা (অবঃ প্রাপ্ত) মেজর জেনারেল মোঃ ইবরাহিম বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্টানে যোগদান করে তার নিজ দলের অবস্থান জানান দেয়। অপর দিকে জামায়াত শিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম গোপনে সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে সরকার বিরোদী আন্দোলনে তাদের কার্যক্রম কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কোন প্রকার কর্মসূচী হাটহাজারীতে পালন করতে দেখা যায় না। এমন কি হাটহাজারী বিএনপি নেতাদের রাস্তা ঘাটে পাওয়া যাচ্ছে না। নেতাকর্মীর মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ থাকলেও কিন্তু তারা রাস্তায় আসতে পারছেন্া।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এই আন্দোলনে রাস্তায় দেখা না যাওয়াতে ক্ষমতার পালা বদলের সময় এসব নেতাদের নিবার্চনি মনোয়ন নিয়ে কোনঠাসায় পড়ার আসঙ্কায় রয়েছে বিএনপির প্রভাবশালীর তিন নেতার অনুসারীরা। সাম্পতি বিএনপি পন্তি এক সাংবাদিকের বক্তব্য বলে ছিলেন বর্তমান দলের দুঃসময়ে যে সব নেতাকর্মী পুলিশের ভয়ে আন্দোলন থেকে দূরে সরে রয়েছে। তাদের কে আগামীতে ক্ষমতার পালা বদল ঘটলে এক পর্যায়ে প্রত্যখান করার ঘোষনা দিলে। হাটহাজারীতে ঘাপটি মেরে থাকা নেতাকর্মীরা রাস্তায় আসতে চাইলেও মামলার ভয়ে ও পুলিশের গ্রেপ্তারের কারণে আসতে পারছেনা। বিএনপি আন্দোলনের মহুর্তে হাটহাজারীতে তাদের কমিটি গঠন নিয়ে দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। এ ফাটলকে কাজে লাগাচ্ছে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের বিরুদ্ধে। ফলে আন্দোলনও জোরালো ভাবে হচ্ছে না। হাটহাজারীতে বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল থাকায় কোন গ্রুপ মাঠে আসতে পারছেনা সরকার বিরোদী আন্দোলনে। কারণ এক গ্রুপ মাঠে আসলে অপর গ্রুপ প্রাসাশনকে তাদের নানান তথ্য জানিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। ফলে বিএনপি হাটহাজারীতে নিজেদের নেতাকর্মীদের ঘরের শক্র বলে আখ্যা দিচ্ছে!।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারী থেকে বিএনপির মনোয়ন প্রত্যাশি তিন প্রভাবশালী নেতা রয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মাদ নাছির উদ্দীন, সাবেক হুইপ আলহাজ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ও দলের কেন্দ্রীয় উপ-কোষাধখ্য এস.এম ফজলুল হক। এই তিন নেতার মধ্যে রয়েছে চরম গ্রুপিং। তিন নেতার পৃথক তিন টি কার্যালয়ও রয়েছে। এস.এম ফজলুল হকের অফিস রয়েছে হাটহাজারী বাসষ্টেশনস্থ একটি প্রাঃ হাসপাতালের নিছে। তবে এই অফিসটি হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির মূলধারার অফিস বলে জানা যায়। অপর দিকে সাবেক হুইপ ওয়াহিদুল আলমের অফিস উক্ত স্থানের কলাবাগান নামক এলাকায়। অন্য দিকে মীর নাছিরের অফিস কখনো নিজ গ্রামের বাড়ি আবার কখনো হাটহাজারী বাজারস্থ ডাক বাংলো চত্তরে। তবে মীর মোহাম্মাদ নাছির উদ্দীনের নিদ্রিষ্ট কোন কার্যলয় নেই। একটি সূত্রে জানা গেছে, মীর নাছিরের অনুসারীরা ওয়াহিদুল আলমের সাথে রয়েছে। ফলে দুই নেতার অফিসে বর্তমানে ঝুলছে দুই কেজি ওজনের কয়েকটি তালা। ৫ই জানুয়ারীর পর থেকে মামলা হামলার ভয়ে পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুস শুক্কুর মেম্বার বর্তমানে গা ডাকা দিলেও অপর দিকে পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে বিদেশ চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হাটহাজারীতে দলের দুই গ্রুফের দুটি অফিস বন্দ রয়েছে। এ বিষয় বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা এসবের ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। ## ২২.০৩.২০১৫
Discussion about this post