বিল না থাকা সত্ত্বেও সরকারি চেক ইস্যু করে ৪ কোটি ২০ লাখের বেশি টাকা উত্তোলন ও খাদ্যশস্য কালো বাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রংপুর ও ময়মনসিংহ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, ক্রাফ্ট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদ রফিক চৌধুরী ও ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম খন্দকার।
ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপ-খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা কাজী হাসিবুল হাসান ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল জলিল।
রফিকুল ইসলাম খন্দকার ও তৌহিদ রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রংপুর কাস্টমস অফিসের কোনো বিল না থাকা সত্ত্বেও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে সরকারি চেক ইস্যু করে পরস্পর যোগসাজশে ৪ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার ১৫০ টাকা আত্মসাৎ করেন। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের এপ্রিলে রংপুরের কোতোয়ালী ও লালমনিরহাট থানায় চারটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
কাজী হাসিবুল ও আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরস্পর যোগসাজশে করিমগঞ্জ খাদ্য গুদামের উদ্ধৃত্ত ১ হাজার ১শ’ ৮৩ বস্তা খাদ্যশস্য বাজেয়াপ্ত না করে কালোবাজার বিক্রি করে ২০ লাখ ২২ হাজার ৬৩৪ টাকা আত্মসাৎ করেন। এই অভিযোগে ময়মনসিংহের করিমগঞ্জ থানায় দুদক মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেফতার করে।
Discussion about this post