একে এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: হাটহাজারী পৌরসভার কলাবাগানস্থ আলিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কহিনূর আক্তার (২৬) নামে এক প্রসূতিকে ভুল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুল চিকিৎসার শিকার কহিনূরের অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় গত শনিবার (২৭ জুন) রাতে কহিনূরের ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের দুই চিকিৎসক ডা: দীল আনজিজ শিখা ও ডা: বিল্লাল হোসেন এবং পরিচালক জসিম উদ্দিন বাবুলকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ (জিডি নম্বর-২১৯৫) দায়ের করে।
অভিযোগ গ্রহনের কথা স্বীকার করে হাটহাজারী মডেল থানার ডিউটি অফিসার এএসআই কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্যারের নির্দেশে এসআই সেন্টু মিয়া ওই অভিযোগ তদন্ত করবেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে। কহিনূর হাটহাজারী উপজেলার গুমানর্দ্দন গ্রামের মো. ইউসুফের কন্যা এবং একই উপজেলার চারিয়া গ্রামের মো.কামালের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রসূতি কহিনূরের ভাই ও অভিযোগকারী রমজান আলী এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বোন কহিনূরকে গত ২১ জুন আলিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। আনার পর কর্তব্যরত দুই চিকিৎসক তাকে ব্যাডে ভর্তি করান এবং বলেন সিজার (অস্ত্রপাচার) করতে হবে। যথারীতি সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করান।
তবে প্রায় এক ঘণ্টা পর অজ্ঞান অবস্থায় রোগীকে বের করে দিয়ে উক্ত দুই ডাক্তার জানায় যে, তার (কহিনূর) অবস্থা খারাপ। তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করতে হবে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ারী দ্রুত চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে কহিনূরের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়েছে। পরে সেখানে সিজারের (অস্ত্রপাচার) মাধ্যমে কহিনূর একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। তবে চমেক হাসপাতালে আইসিইউতে সিট না পাওয়ায় তাকে দ্রুত ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টির সর্ম্পকে জানতে আলিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক জসিম উদ্দিন বাবুল এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদেরকে প্রসূতিকে চিকিৎসা সেবা দেয়নি বলে অস্বীকার করেন। তবে অভিযোগটির তদন্তকারী পুলিশ কর্তকর্তা এসআই সেন্টু মিয়া জানান, অভিযোগটির তদন্ত চলছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ব্যক্তি মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বিভিন্ন সময় রোগীদের চরম দূর্ভোগে পড়ার পাশাপাশি ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগীকে মৃত্যু মুখোমুখি হতে হয়।
২৮/০৬/২০১৫ইং
Discussion about this post