রাজধানীর একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও মামলাটি বিচারের জন্য কেন দায়রা আদালতে পাঠানো হয়নি সে বিষয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ দুই মামলায় দুই আসামির জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে সোমবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দশদিনের মধ্যে উভয় বিচারককে জবাব দিতে হবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান।
আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী গোপাল চন্দ।
ঢাকা
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সংরক্ষিত ক্যাশরুমে খুন হন বুকিং সহকারী ইস্রাফিল হোসেন। এ ঘটনায় ওইদিনই স্টেশনমাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি তালেবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে তালেব জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন জানালে গত বছরের ২২ নভেম্বর তা খারিজ করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে তালেব হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন জানান।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বিচারের জন্য দায়রা আদালতে যাবে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মামলাটি দায়রা আদালতে পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে দশদিনের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
রংপুর
২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর রংপুরের পীরগাছায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী ৫২ বছর বয়সী এক প্রতিবেশী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই মেয়ে পীরগাছা থানায় ঘটনার দিনই মামলা করে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এ মামলায় গত বছরের ১২ অক্টোবর গ্রেফতার হন দেলোয়ার নামের এক আসামি। এরপর তিনি জামিনের আবেদন জানালে এ বছরের ১৩ জানুয়ারি রংপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ (প্রথম আদালত) মো. রোকনুজ্জামান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর দেলোয়ার হাইকোর্টের জামিনের আবেদন জানান।
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান কবির বলেন, এজাহার অনুসারে আসামির বয়স ৫২ বছর ও কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। আসামির বয়স ৫২ বছর হওয়া সত্ত্বেও জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি শিশু মামলা হিসেবে (শিশু মিছ কেস-১৬৮/২০১৫) গ্রহণ করেন বিচারক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাটি কোন কর্তৃত্ববলে শিশু মামলা হিসেবে গ্রহণ করলেন সে বিষয়ে দশদিনের মধ্যে ওই বিচারককে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Discussion about this post