বিডি ল নিউজঃ জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকা মাহনগর হাকিম মারুফ হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন বদি। গত ১১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন তিনি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার সিএমএম আদালতে করে আইনজীবী দুলাল মল্লিকের মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন বদি। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী কবির হোসেন তার জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সম্পদ বেড়েছে ৩৫১ গুণ। নামে-বেনামে তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। আর নিট সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণের বেশি। ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখাতে কম দামি সম্পদকে বেশি দাম (এক কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা) দেখানোর অভিযোগে গত ২১ আগস্ট সাংসদ আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সোবহান।
অভিযোগ রয়েছে, হলফনামায় বদির কেবল আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদের কথা উল্লেখ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে তার আয় ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও টেকনাফে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে এ টাকা অর্জন করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি।
হলফনামা অনুসারে বদির বার্ষিক আয় ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় ২ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেয়া হলফনামায় তিনি জানান, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। ওই সময় বিভিন্ন ব্যাংকে তার মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা।
Discussion about this post