বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ১৯ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন। এনিয়ে মামলাটিতে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। ঢাকার সাবেক এ মেয়রকে মামলাটিতে পূর্বেই পলাতক দেখিয়ে চার্জগঠন করায় তার পক্ষে জেরা অনুষ্ঠিত হয়নি। মামলাটিতে এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর সাদেক হোসেন খোকা দুই কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দুদক সম্পদের তদন্তের পর ৯ কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ২৬১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৯ কোটি ৬৪ লাখ তিন হাজার ৬০৯ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করে। ২০০৮ সালের ১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা এই মামলা হাইকোর্টে সাদেক হোসেন খোকার মামলা বাতিলের আবেদনের কারণে দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। মামলাটিতে তারস্ত্রী মিসেস ইসমত আরাও আসামি। তবে চার্জশিট দাখিলের পূর্বে হাইকোর্ট তার অংশের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করায় তার অংশের তদন্তও স্থগিত রয়েছে। মামলায় খোকার ছেলে ইসরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেক আসামি থাকলেও তাদের চার্জশিটে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
Discussion about this post