ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক নিউরো সার্জন ডাক্তার মো. জাহাঙ্গীরসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা, বগুড়া, টাংগাইল, দিনাজপুর এবং কুমিল্লা থেকে তাদের পৃথক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেন রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটির তদন্ত কর্মকর্তারা।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ১৪ জনকে গ্রেফতার করে দুদক। দু’দিনে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩।
জানা যায়, ডাক্তার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে ছিলো। এ অভিযোগে ঢামেক থেকে ২০১৩ সালে মামলা হয়। এরপর ঢামেক হাসপাতাল থেকে তিনি বরখাস্ত হন। এ মামলায় দুদক বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির ব্রাইটন হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে বুধবার আরও যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা হলেন, সেগুনবাগিচায় সিজিএ সমবায় ঋণদান সমিতির সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরজেএম রবিউল কাইছার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক হিসাব রক্ষক রাজু আহমেদ, বি-বাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ক্যাশিয়ার আল মাহমুদ, টাংগাইলের জনৈক নুরুল আমিন, বগুড়া গ্রামীণ ব্যাংকের বুড়াইল নন্দীগ্রাম শাখার বরখাস্তকৃত ব্যবস্থাপক বাবুল আখতার, দিনাজপুরের জনৈক আশরাফুল রেজিভী, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সাবেক অফিয়া সহায়ক দেলোয়ার হোসেন শাহীন।
এদের গ্রেফতারের বিষয়টি দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মার্চ দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে ইকবাল মাহমুদ যোগদান করার কয়েকদিন পরেই দুদকের গ্রেফতার তৎপরতা দেখা যায়। ২৭ মার্চ রাতভর অভিযান চালিয়ে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতারের মধ্যেই শুরু হয় এ কমিশনের প্রথম গ্রেফতার কার্য্যক্রম।
এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই চলে দুদকের গ্রেফতার অভিযান। ওইদিন রাত থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দুদক।
Discussion about this post