অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনকারী যতবড় ক্ষমতাশালী ব্যক্তিই হোক না কেন সঠিক তথ্য পেলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. নাছিরউদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, যারা অন্যায় করছে, অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ছে তাদের সম্পদের তথ্য আমাদের দিন। আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করবো। সে যতবড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোক না কেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যান।
দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ খাঁন।
দুদক কমিশনার বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস রাষ্ট্রিয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এখানে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীই সৎ। এরপরও কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তাদের সংখ্যা খুবই কম।
তিনি বলেন, যারা সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন করে অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছে তাদের সম্পর্কে আমাদের জানান। তাদের সম্পদের তথ্য আমাদের দিন। আমরা যাতে আইনের আওতায় আনতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে অনেকদুর এগিয়ে নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে চট্টগ্রাম কাস্টমস যাতে ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। কাস্টমসের কি হচ্ছে তা মানুষকে জানানো দরকার।
আগামী জুন মাসের পরে পুনরায় ফলোআপ মিটিং করা হবে জানিয়ে নাছিরউদ্দীন বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন যা কিছু হবে তার ফলোআপ করবো। এজন্য আপনারা সহযোগিতা করুন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রতি সপ্তাহে একদিন গণশুনানির পরামর্শ দিয়ে কাস্টমস কমিশনারে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলুন, দেখবেন অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
লোকবল সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা সেবা পাচ্ছে জানিয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, লোকবল সংকট দুর হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
দেশের সব শুল্ক স্টেশনে একই রেটে শুল্কায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত লাইসেন্স হয়ে যাওয়ার কারণে কিছু কিছু অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা) খালেকুজ্জামান, চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার গিয়াস কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post