দুর্নীতি, অসদাচরণ ও অদক্ষতার দায়ে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক এসএম আমিনুল ইসলামকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর প্রেক্ষিতে তার লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিকালে প্রদত্ত বক্তব্য, তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি ৩(এ)(বি) ও (ডি) মোতাবেক তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ওই বিধিমালার ৪(৩)(ডি) অনুযায়ী চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয় বরখাস্ত সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করে। এর আগে গত অক্টোবর মাসে একই অভিযোগে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তিন বিচারককে। এরা হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকার, জামালপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সিরাজুল ইসলাম ও খুলনার সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মঈনুল হক। বরখাস্ত করার পূর্বেই তাদেরকে বিচারকাজ থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছিলো।
এই চার বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলো সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্দেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট চার বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত করে সেই প্রতিবেদন জিএ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জিএ কমিটি গত আগষ্ট মাসে অনুষ্ঠিত ফুল কোর্ট সভায় চার বিচারককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত দেয়। পরে তা সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পাওয়ার পর তাদেরকে চাকুরি থেকে বরখাস্তের সার-সংক্ষেপ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরেই চাকরিচ্যুত করার সরকারি আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি দেখভাল করে জিএ কমিটি। ওই কমিটির প্রধান হলেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।
Discussion about this post