এস এইচ সৈকত; মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ট্রেনের পাশাপাশি দূর পাল্লার কোচেও তাদের কর্মকান্ড সম্প্রসারিত করেছে। এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে কোচের চালক, সহকারী
চালকরা জড়িত বলে এক ভুক্তভোগির অভিভাবক অভিযোগ করেছেন। মৌলভীবাজার জেলা
সদরের রায়শ্রী এলাকার সৈয়দ সেলিম আলী অভিযোগ করে বলেন তার শ্যালক মোঃ
আমানুর রহমান (২০) ঢাকার সায়দাবাদ বাস স্টেন্ড থেকে ১৩ মে বুধবার দিবাগত
রাতে কুলাউড়ার রবিরবাজার গামি রুপালী বাংলা (নং-৭১২) নাইট কোচে করে
মৌলভীবাজারস্থ তার বোনের বাড়িতে আসছিলেন। রাত ১টা পর্যন্ত তার সংগে
মোবাইল ফোনে কথা হয় এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে আর
যোগাযোগ করা সম্বব হয়নি। ১৪মে বৃহস্পতিবার ভোরে আমানুর রহমানকে কুলাউড়া
পৌর সদরের স্কুল চৌমুহনায় অচেতন অবস্থায় ফেলে যায় কোচটি। স্থানিয়রা ভোরে
অচেতন অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তিতে
খবর পেয়ে আমানুরের দুলাভাই সৈয়দ সেলিম আলী উদ্বিগ্ন অবস্থায় কুলাউড়া আসেন
এবং শ্যালককে সনাক্ত করেন। তিনি জানান ঢাকা থেকে আসার পথে তার সাথে থাকা
নগদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা, ২টি দামী মোবাইল ফোন, গলায় সোনার চেইন, একটি
কাপড়ের ব্যাগ এমনকি পায়ের জুতা পর্যন্ত নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।
এই ঘটনার সংগে রুপালী বাংলা কোচের চালক ও চালক সহকারিসহ সংশ্লিষ্টরা জড়িত
রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আমানুরের মূল বাড়ী মাদারিপুর জেলার রাজুক
থানার নন্দিগ্রামে তার পিতার নাম লালন ফকির। আমানুরের আবস্থা আশংকা জনক
হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
Discussion about this post