দফায় দফায় ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও শেষ পর্যন্ত আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইনটি সংশোধনের জন্য ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন- ২০১৭’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আজ সোমবার (৫ জুন) মন্ত্রিসভার বৈঠকের অলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের আগে দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও ওই বছরের ৩০ মার্চ এক লাফে আইনটির মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন পাসের পর তা দুই বছরের জন্য কার্যকর করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ আইনের মেয়াদ দুই বছর করে বাড়ানো হয়। ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বছরের ৩০ মার্চ আইনটির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়।
মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে ২০১৪ সালে বলা হয়, ‘যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি, ক্ষতি সাধন, সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির সম্পত্তি নষ্ট বা ভাঙচুর করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভয়-ভীতি দেখানো বা দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার মতো অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনটির অধীনে তদন্তাধীন ও বিচারাধীন ১ হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।’
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রমাণিত হলে ২-৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।
Discussion about this post