বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৭ জুন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কোনো প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন আদালত শুনানি শেষে শাহবাগ থানার ওসিকে প্রথম তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়। হরতালের সময় তারা পুরান ঢাকায় বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে। নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় তারা অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারকে র্যাব দিয়ে ধরে নিয়ে খুন করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের ওপর হামলার সময় বলে, তোরা হিন্দু হয়ে বিএনপি করিস কেন?’
মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার এ সব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে। যা দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারার অপরাধ। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছিল।
Discussion about this post