বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিবিভেদ সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় প্রতিদেন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আরেফীন এ তারিখ ধার্য করেন।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন আদালত শুনানি শেষে শাহবাগ থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ অক্টোবর বিকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মালম্বীকারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোন ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। হরতালের সময় তারা পুরান ঢাকায় বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে। নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় তারা অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারকে র্যাব দিয়ে ধরে নিয়ে খুন করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের ওপর হামলার সময় বলে, তোরা হিন্দু হয়ে বিএনপি করিস কেন?’
মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার এ সকল বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে তেমনী হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণীগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে। যা দন্ডবিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারার অপরাধ। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছিল।
Discussion about this post