আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অভিযুক্ত ধর্ষকদের বাঁচাতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের নারী সাব-ইন্সপেক্টর শ্বেতা জাদেজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে দায়রা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, শ্বেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি।
জানা গেছে, আহমেদাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। অভিযুক্তের নাম কেনাল শাহ। অফিসেরই দুই মনারী কর্মচারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। দুই ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল কেনালের বিরুদ্ধে। একটি মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন শ্বেতা জাদেজা।
একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তদন্ত কোনোভাবেই গতি পায়নি। এমনকি অপরাধীর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম দফায় ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শ্বেতা জাদেজার বিরুদ্ধে। তদন্তের রিপোর্ট বদল করতে আরো ১৫ লাখ টাকা আদায় করতে অভিযুক্তদের সঙ্গে নাকি দর কষাকষি চলছিল শ্বেতার। পুরো ব্যাপারটি ফাঁস হয়ে যায়। পরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
শ্বেতার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর কেনাল শাহের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হলেও তদন্তের কোনো রিপোর্টই দেননি শ্বেতা। কেনালের ভাইয়ের মাধ্যমে তার কাছে অগ্রিম ২০ লাখ টাকা পৌঁছে গিয়েছিল। পরে আরো ১৫ লাখ টাকার জন্য নাকি অভিযুক্তকে চাপ দিচ্ছিলেন শ্বেতা। এ নিয়ে অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে দর কষাকষিও চলছিল তার। সে কারণে পুরো ব্যাপারটি সামনে চলে আসে। তবে সেই টাকা শ্বেতার হাতে পৌঁছেছিল কিনা, তা এখনো জানা যায়নি।
Discussion about this post