বিডি ল নিউজঃ
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের চিঠির জবাব দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিঠির জবাবে লিখেছেন, ‘২০ দলীয় জোট মনে করে, সংলাপের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনই সংকটের সমাধান করতে পারে।’ চিঠিতে সংকট নিরসনে সংলাপে বসার ইচ্ছা ব্যক্ত করে বিএনপি চেয়ারপারসন এ ব্যাপারে সরকারি দলের নেতিবাচক মন্তব্যের কথাও তুলে ধরেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির কূটনৈতিক বিষয় দেখভাল করেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির এমন এক নেতা খালেদা জিয়ার ওই চিঠি গেল সপ্তাহে পৌঁছে দিয়েছেন। চিঠিটি বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার পর তা নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিবের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার কাছে যে চিঠি এসেছিল তা বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির কার্যালয় থেকেই এসেছিল। তাই সেই চিঠির জবাবও সেখানেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বান কি-মুন চিঠি দেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে যে ধরনের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে তাও বিএনপির চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হয় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, যদিও চিঠিটি জাতিসংঘ থেকে এর প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংলাপে বসার আহ্বান জানান বান কি-মুন। এদিকে বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের মানবাধিকার সাব-কমিটির শুনানির পর বাংলাদেশ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জাতিসংঘে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র বলছে, সেখানে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে করণীয় নিয়ে তাদের প্রস্তাব পাঠানো হয়। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, ওসমান ফারুকের সাথে জাতিসংঘ কর্মকর্তার বৈঠকে বাংলাদেশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান, বিএনপির চিঠির জবাব এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশসমূহ এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের শুনানির বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সময় বিএনপি নেতা তার দলের সংলাপে বসার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সংলাপে বসতে তাদের আপত্তি নেই। তারা মনে করেন, সংলাপের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনই সঙ্কটের সমাধান করতে পারে। জানা গেছে, বান কি মুনের চিঠির পরও দুই দলের মধ্যে সমঝোতার আভাস না পাওয়া যাওয়ায়, জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা ঢাকা সফর করবেন। সফরে দুই নেত্রীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
Discussion about this post