হাইকোর্টের জায়গাও তো নবাবদের নামে ছিল, এজন্য কি নবাবরা এর মালিক দাবি করতে পারবে? গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় সিটি কর্পোরেশনের অভিযান ঠেকাতে করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারপতি।
মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীর পাশেই অবস্থিত গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান না চালানোর নির্দেশনা পেতে রিট দায়ের করেছিলেন মুসাব্বির আহমেদ।ওই রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পীরজাদা এমএ রশিদ মিঞা (বাদশা)।
শুনানিতে জমির মালিকানার পক্ষে কোন ধরনের নথিপত্র দেখাতে পারেননি মালিকানা দাবিদার রিটকারী। এমনকি আদালত, মালিক হিসাবে সর্বশেষ খাজনা কত তারিখে দেয়া হয়েছে এমন তথ্য উপস্থাপন করতে বললে তাও দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন রিটকারীর আইনজীবী।
মঙ্গলবার রিট আবেদনের ওপর শুনানি সময় হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসব কথা বলেন। এ সময় আদালত আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, জমিটা আপনার এই মর্মে কোন নথিপত্র, এমন কি খাজনার কপিও দেখাতে পারছেন না, তাহলে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাবেন কিভাবে?
তখন আইনজীবী আদালতের কাছে বলেন, দেশে এবং বিদেশে আমার বাড়ি আছে। সবসময় আমার দেশে থাকা হয় না, ওই স্থান থেকে জিনিষপত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য একটু সময় দরকার। আদালতের নির্ধারণ করে দেয়া সময় রাজউক মানবে। তাই একটু নির্দেশনা দেন। পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কোন ধরনের নির্দেশনা না দিয়ে তা (উত্থাপিত হয়নি মর্মে) খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আদালতের শুনানিতে এর আগে আইনজীবীর কাছে জানতে চান আপনার কি রাজউক থেকে কোন প্ল্যান পাস করা ছিল। জবাবে আইনজীবী বলেন, জি না। আপনি তো নবাবদের আত্নীয় এবং খাজা। খাজা এবং নবাবরা তো দানশীল। দেশে বিদেশে আপনার বাড়ি আছে। দেখাশোনা করতে পারেন না। শুনানির এই পর্যায়ে আদালত ওই রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হাইকোর্টও তো নবাবদের নামে, এজন্য কি নবাবরা এর মালিক?’
Discussion about this post