বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা ‘লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি)’ শুনানির জন্য আগামী ৩১ জুলাই দিন ধার্য করেছে আদালত।
রোববার (১০ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার আদালতের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে গত বছর ১৮ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি বাতিলে খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়।
এ সংক্রান্ত ইতোপূর্বে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেয় আদালত। রায় প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করে আদালত।
পরে ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
Discussion about this post