আজ না হয় তিনি গ্যালারিতে ছিলেন। এত দিন তিনি বা শাহরুখ খান— কেউই ছিলেন না। তা সত্ত্বেও পরপর ম্যাচ জিতেছেন গৌতম গম্ভীর ও তাঁর দল।
গম্ভীরদের এই সুখের দিনে তাঁরা নেই কেন? জুহি এ বার যেন একটু সিরিয়াস, ‘‘আসলে শাহরুখ, আমি দু’জনেই নিজেদের কাজে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। শাহরুখের বোধহয় ফিল্ম শুটিং চলছে। আমিও একটা শুটিংয়ে ছিলাম। সে সব মিটতেই দৌড়ে এসেছি ইডেনে। শাহরুখও অবশ্যই আসবে ফাইনালে। দেখুন না, ২৪ মে একেবারে বলিউডের দলবল নিয়ে চলে আসতে পারি আমরা।’’
দল ফাইনালে উঠছে ধরেই নিয়েছেন নাইটদের অন্যতম কর্ণধার? চার দিক দেখে নিয়ে চুপি চুপি বললেন, ‘‘এর মধ্যে আবার ফিক্সিং-টিক্সিংয়ের গন্ধ পাবেন না যেন! এটা আসলে আমাদের প্রবল আত্মবিশ্বাস। আমাদের প্লেয়ারদের জিজ্ঞেস করুন, ওরাও হয়তো একই কথা বলবে।’’ অটোগ্রাফ ও সেলফির আব্দার মেটাতে মেটাতে যোগ করেন, ‘‘এই যে জিজ্ঞাসা করছিলেন না, আমি আর শাহরুখ আসছি না কেন? এই টিমটার যা স্পিরিট, তাতে আমাদের গ্যালারিতে থেকে মোটিভেট করার দরকারই নেই। বরং এখন ওদের দেখেই আমরা উদ্বুদ্ধ হতে পারি। কী লড়াই-ই না করছে ছেলেগুলো!’’
সাদা টি-শার্ট ও ঘি রঙা ট্রাউজারে চিরসবুজ জুহি তখন অধীর আগ্রহে গাড়ির অপেক্ষায়, মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন বলে। বলছিলেন, ‘‘টিমের এ রকম অসাধারণ জয়ের পর পুজো দিতে যেতেই হবে। সে জন্যই তাড়াহুড়ো করছি। এ বার আসি। কপালে থাকলে ফাইনালের দিন দেখা হবে।’’
ঈশ্বরের কাছে সেই প্রার্থনা করতেই বোধহয় ইডেন থেকে সোজা রওনা হয়ে গেলেন কালীঘাটে।
সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা
Discussion about this post