নাটোরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে কামরুজ্জামান মাসুম (৩৬) নামে এক সাবেক সেনা সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. হাসানুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কামরুজ্জামান মাসুম জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার নটাবাড়িয়া গ্রামের সরদার মো. বয়াত রেজার ছেলে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। আদালতের সাক্ষ্য প্রমাণ ও রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল যাচাই–বাছাই করে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় ও দুই লাখ অর্থদণ্ড করা হয়। মামলাটি নাটোরের শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচারে আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক মো. হাসানুজ্জামান আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণাকালে আদালত ঘটনাটিকে জঘন্য ও বর্বরোচিত বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি এটাকে সমাজের চরম অবক্ষয় বলেও মন্তব্য করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় ছিলেন। রায়ের পর তাঁকে নাটোর কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ রায়ে রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি এ কে এম শাহাজাহান কবির সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামি পৈশাচিক অপরাধ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া দণ্ডাদেশ সমাজে নীতি–নৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।
Discussion about this post