এই ৬৫ জনকে এখন রাখা হয়েছে ইন্দোনেশিয়া এবং তিমুর সীমান্তের কাছে কোপাং দ্বীপে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার তত্ত্বাবধানে।
উদ্ধারপ্রাপ্ত এক বাংলাদেশি নাজমুল হাসান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্যে তারা এই বিপদজনক পথ বেছে নিয়েছিলেন।
তিনি জানান, নিউজিল্যান্ডের সরকার শরণার্থীদের অনেক সাহায্য সহযোগিতা দেয় এই খবর পেয়েই তারা সেদেশে পাড়ি জমাতে চেষ্টা করেছিলেন।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়াতেও গিয়েছিলেন সাগর পথে।
চট্টগ্রামে থেকে প্রথমে থাইল্যান্ড, তারপর মালয়েশিয়া এবং সবশেষে তারা গিয়ে পৌঁছান ইন্দোনেশিয়ায়।
ওই পথ পাড়ি দিতে তাদের তিন মাসের মতো সময় লেগেছিলো।
মি. হাসান বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর পর তারা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার আশ্রয়ে ছিলেন এবং ইন্দোনেশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক কিছু সমস্যার কারণে তারা দেশ ছেড়ে চলে যান।
তিনি এক বছর ধরে ইন্দোনেশিয়ায় ছিলেন।
নাজমুল হাসান বলেন, প্রায় ২৫ মিটার লম্বা, সাত মিটার চওড়া ও ছয় মিটার উঁচু একটি নৌকায় করে তারা নিউজিল্যান্ড পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়ার দালালরা এই নৌকা চালাচ্ছিলো।
জাকার্তা থেকে সমুদ্রপথে রওনা দেওয়ার ১৮ দিন পর অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনী তাদেরকে উদ্ধার করে।
“আমরা আন্তর্জাতিক পথ দিয়েই যাচ্ছিলাম সেকারণে তারা আমাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।” বলেন তিনি।
তিনি জানান, চারদিন পর অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা জাহাজের একজন নাবিকের সাথে কথা বলেন। এবং পরে তাদেরকে অস্ট্রেলিয়ার একটি দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি জানান, ওই দ্বীপে যেতে তাদের সময় লেগেছিলো দুই দিন। পথে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তাদের সাথে অন্তঃসত্ত্বাও অনেক নারীও ছিলেন বলে তিনি জানান।
নাজমুল হাসান বলেন, এসময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে যায়।
তারপর তাদেরকে কিছু খাবার, পানি ও সামান্য তেল দিয়ে ছোট ছোট দুটো নৌকায় তুলে দেওয়া হয়, ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে।
আবার ইন্দোনেশিয়ায় আসার পর পুলিশ চারজন ক্যাপ্টেনকে আটক করেছে।
দু’জন পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বর্তমানে তাদেরকে কোপাং এর একটি শিবিরে রাখা হয়েছে।বিবিসি……।
Discussion about this post