মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নিজামীকে কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির সেল বলে খ্যাত কনডেম সেল রজনীগন্ধায় রাখা হয়েছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম-অর-রশিদ তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে রাত ১০টা ২৫মিনিটে কাশিমপুর কারাগার থেকে পুলিশের একটি প্রিজনভ্যান নিজামীকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর কারারক্ষী জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের প্রিজনভ্যানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিজামী কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন।
০৫ মে (বৃহস্পতিবার) নিজামীর করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। অন্য তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সর্বোচ্চ আদালতের সর্বশেষ এ রায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আইনি লড়াই।
তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকরের বিষয়টিও চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছালো। সর্বশেষ ধাপে এখন কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন তিনি। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
আইন অনুসারে তখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।
০৩ মে (মঙ্গলবার) রিভিউ আবেদনটির শুনানি শেষে রায়ের দিন বৃহস্পতিবার ধার্য করেন একই আপিল বেঞ্চ।
সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি করেন আসামিপক্ষে নিজামীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
Discussion about this post