ফেনী-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এমপি পদের বৈধতা সংক্রান্ত রিটের রায় পিছিয়েছে। আজ এ রিটের উপর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু অস্ত্র মামলায় নিম্ন আদালতে রায় ঘোষণার পূর্বে নিজামুদ্দিন হাজারী কতদিন হাজত বাস করেছেন এ সংক্রান্ত তথ্য আদালতের সামনে না থাকায় হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেনি।
আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ২৩ আগস্ট রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেছে। একই সঙ্গে অস্ত্র মামলার নিষ্পত্তিকৃত আপিল ফাইলও তলব করেছে আদালত।
উল্লেখ্য, ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু ২ বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। দণ্ডের মেয়াদের মধ্যেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবং তাঁর মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসাবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতেও দেখা যায় তিনি আদালতের দেয়া দণ্ড সম্পূর্ণ ভোগ না করে কারসাজির মাধ্যমে জেল থেকে মুক্তি পান।
আদালতে হাজারীর পক্ষে আইনজীবী শফিক আহমেদ, নূরুল ইসলাম সুজন এবং রিটকারী পক্ষে কামরুল হক সিদ্দিকী ও পত্রিকাটির পক্ষে সত্যরঞ্জন মন্ডল শুনানি করেন।
Discussion about this post