বিডি ল নিউজঃ এই মুহূর্তে আমাদের সব ফোকাস অজিঙ্ক রাহানের উপর। অস্ট্রেলিয়া সফরে ও ছিল ভারতের সবচেয়ে উন্নত প্লেয়ার। আইপিএলেও ও সবার উপরে। যদিও ডেভিড ওয়ার্নার আর ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ওর এত কাছাকাছি চলে এসেছে যে, দু’একটা ওভারে সব ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে কোটলার মতো মাঠে। তবে এটা রাহানের ক্ষেত্রে কোনও ব্যাপারই নয়। সতীর্থ ক্রিকেটার, ফ্যান বা বিশেষজ্ঞ ওকে যে ভাবে মাপুক না কেন, রাহানের চিন্তা একটাই। ও গোটা ইনিংসটা ব্যাট করল কি না।
টি-টোয়েন্টি তাড়াহুড়োর খেলা। সেখানে রাহানে হল এমন একজন যে ওয়ার্নারের চেয়ে ৫০টা আর ব্রেন্ডন ম্যাকালামের চেয়ে ১০০টা বল বেশি খেলেছে। কিন্তু ড্রেসিংরুমের কেউ বা নন-স্ট্রাইকাররা সেটা নিয়ে অভিযোগ তোলেনি। অজিঙ্কের রহস্যটা কোথায়? এক নম্বর, ওর টিম চায় ও কুড়ি ওভার একটা দিক ধরে রাখুক। আর দু’নম্বর, সিঙ্গলস নিতে ওর কোনও ক্লান্তি নেই। আইপিএল শুরুর পর থেকে গরম ক্রমশ বেড়েছে, গ্যাপ কমেছে, অনেকের নার্ভ ফেল করেছে, ট্র্যাভেল করতে করতে লোকে পাগল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাহানে ওর স্টান্স থেকে অর্ধেক পা-ও নড়েনি।
রাহানে হল সেই বিরল প্রজাতির ক্রিকেটার, যাকে ছাড়া যে কোনও ফর্ম্যাটে ভারতীয় দল ভাবাই যায় না। এটা ওর বৈচিত্র, নিজেকে ভাঙাগড়ার ক্ষমতা আর সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার গুণ। ওর প্রতিভার বিচ্ছুরণ বহুমুখী। দেখে অবাক হওয়া যায়, কিন্তু সমালোচনা করা যায় না। রাহানে চুপচাপ, ওর হয়ে কথা বলে প্রতিভা। কিন্তু এই যে দুর্দান্ত কেরিয়ারের দেখছেন, সেখানে পৌঁছতে ওকে প্রতিটা ইঞ্চির জন্য লড়তে হয়েছে। টেস্ট দলে ডাক পেতে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। তার পর ওয়ান ডে-তে গ্রহণযোগ্যতা আর টি-টোয়েন্টি অভিষেকের জন্যও। গত বছর ওকে দিয়ে ওপেন করানো হয়, আবার ছ’নম্বরে ব্যাট করানো হয়েছে। তাও একদম আলাদা পরিবেশে। আর প্রায় প্রত্যেক বার ও সাঁতরে পার হতে পেরেছে।
সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা
Discussion about this post