নিবন্ধন পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হলেন মুজিবনগর আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন এক শিক্ষিকা (২৫)। শুক্রবার সকালের দিকে কুষ্টিয়ার হাউজিং নিসান মোড় এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
তিনি জানান, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় মুজিবনগর আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি অনার্স শেষে মাষ্টার্স করেন। নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ছাড়ায় ৩ বছর চাকরি করেন।
চলতি বছরের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কুষ্টিয়া যান এবং সেখানে একটি বাড়িতে আলাদা আলাদা রুমে রাত্রি যাপন করেন। সকালে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণকালে প্রধান শিক্ষক তার রুমে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর তিনি পরীক্ষার হলে না গিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
এদিকে, ওই প্রধান শিক্ষক ঘটনার পর থেকেই গাঢাকা দেন। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত নার্স লাভলীর দেয়া ভয়ভীতি ও পরামর্শে ওই শিক্ষিকা শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। বাড়িতে এসে তিনি এসব ঘটনা স্বজনদের খুলে বলেন।
মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউপির ওয়ার্ড সদস্য ভবরপাড়া গ্রামের দিলীপ মন্ডল জানান, ওই শিক্ষিকা তার আত্মীয়। তারা প্রধান শিক্ষককে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করবেন। এছাড়া মেয়েটিকে আরো চিকিৎসার জন্য পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করবেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনা মুজিবনগর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
মুজিবনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে তিনি ওই শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন চৌধুরী জানান, শনিবার রাতে মেয়েটি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post