নিম্ন আদালতের বিচারকদের কাজের মূল্যায়ন করতে নীতিমালা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গেকই সঙ্গে দেশের ১২টি জেলার অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিচারিক ও প্রশাসনিক কাজের মাসিক বিবরণী ওই মূল্যায়ন নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট জেলার বিচারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত মঙ্গলবার (২০ জুন) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিবরণী অনলাইনে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলাগুলো হচ্ছে-দিনাজপুর, লালমনিরহাট, জামালপুর, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কক্সবাজার, গাজীপুর ও বাগেরহাট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ও নিষ্পত্তি তরান্বিত করার জন্য অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন এবং সাফল্য নির্ধারণের মানদণ্ড নিরুপণের বিষয়টি যুগোপযোগী ও ফলপ্রসূ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারকদের বিচারিক এবং প্রশাসনিক কাজের মূল্যায়নের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে একটি কমিটি এ খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করার পর প্রধান বিচারপতি তাতে অনুমোদন দেন।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মানদণ্ড নির্ধারণের ক্ষেত্রে এখন থেকে একজন বিচারকের জন্য নির্ধারিত দাপ্তরিক সময়ে সকল প্রকার বিচারিক কাজ (দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা রুজু থেকে নিষ্পত্তি) এবং বিচারসংক্রান্ত সব প্রশাসনিক কাজ মূল্যায়িত হবে। নিষ্পত্তি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে কোনো তথ্য গোপন করা হলে তা অসদাচরণের শামিল এবং দায়ের হবে বিভাগীয় মামলা।
এতে আরো বলা হয়েছে, প্রতি মাসে গড়ে ২২ কর্মদিবস ধরে গ্রেড পয়েন্ট অর্জন সাপেক্ষে বিচারক মূল্যায়নে এই পাঁচ মানদণ্ড নির্ধারিত হবে। সেই হিসাবে ৯১ এবং তদূর্ধ্ব পয়েন্টপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ‘অসাধারণ’, ৮১ থেকে ৯০ পয়েন্টপ্রাপ্ত ‘উত্তম’, ৬৫ থেকে ৮০ পয়েন্টপ্রাপ্ত ‘ভাল’ বিচারক হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া ৫০ থেকে ৬৪ পয়েন্টপ্রাপ্ত ‘সাধারণ’ এবং ৫০-এর কম পয়েন্টপ্রাপ্ত হলে ‘অপর্যাপ্ত’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
Discussion about this post