সারা দেশের জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সমূহে এক মাসের বাৎসরিক অবকাশ আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) থেকে ৩১ ডিসেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত এসব আদালতে মামলা সমূহের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে সারা দেশের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জজ আদালত সমূহ এই ছুটির আওতাবহির্ভূত।
এদিকে অবকাশকালীন সময়ে ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রবীর কুমার রায়কে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন সময়ে জরুরি মামলা সমূহ নিষ্পত্তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আগামী ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর, ১৪ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বর এবং ২৮ থেকে ২৯ ডিসেম্বর জরুরি মামলা নিষ্পত্তি করবেন।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জরুরি মামলা নিষ্পত্তির জন্য অবকাশকালীন বিচারক হিসেবে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুহুল আমিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আগামী ৬ থেকে ৭ ডিসেম্বর, ১৩ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ২০ থেকে ২১ ডিসেম্বর এবং ২৭ থেকে ২৮ ডিসেম্বর জরুরি মামলা নিষ্পত্তি করবেন।
এদিকে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জজ আদালত বাৎসরিক ছুটির আওতাবহির্ভূত হওয়ায় ঢাকার ওই সকল আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে ওই সকল আদালতে বিচারকরাও ওই কারণে ক্ষুব্ধ বলে তারা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশেষ জজ ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে জানান, সকলের জন্য অধিকার সমান হওয়া উচিত। সব কোর্টের ছুটি, আমরা কেন এর বাইরে। আর এই এক মাস কাজ করার জন্য সরকার তো আমাদের অতিরিক্ত টাকাও দেয় না। বিনোদন সবার দরকার। তাই বিশেষ জজ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এবং ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টকেও বাৎসরিক ছুটির আওতায় আনার জন্য তারা দাবী করেন।
Discussion about this post