শুক্রবার (১৭ জুলাই) থেকে পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত এ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছে নগর পুলিশ সদর দফতর।
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন এবং যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য শহরে চারস্তরের এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ।
বর্তমানে মহানগরীর কাটাখালি, নওদাপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গা এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ মুখে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি মহানগরের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে রয়েছে র্যাবের টহল।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ঢাকা হেড কোয়াটারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী মহানগরের চারটি থানা এলাকসহ সব ফাঁড়িতে ঈদের জামায়াতসহ আনন্দ উৎসবের যাবতীয় অনুষ্ঠানে বাড়তি সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ঈদ মার্কেট ও ব্যস্ততম সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
মহানগরের প্রবেশ মুখ ছাড়াও তালাইমারী, কোর্ট চত্বর, প্রাণ কেন্দ্র সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, মণিচত্বর, সোনাদীঘির মোড়, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লক্ষীপুর, তালাইমারী শহীদ মিনার রোড, সরকারি অফিস-আদালত এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় কঠোর নিড়াপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি জোনের এসিরা এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করবেন। ছুটিতে মহানগরের প্রতিটি এলাকায় সংশ্লিষ্ট থানার একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে পুলিশ পালা করে টহল দেবে। এছাড়া বিস্ফোরক ও আতশবাজি বহন এবং ফুটানোর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঈদের আগে ও পরে মিলে তিনদিন এ নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post