বিডিলনিউজঃ নির্বাচন করছেন না, থাকছেন না বাহিরেও; নির্বাচনের দিনও থাকতে হবে জেলে। গত ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবে পুলিশ হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ ও এমকে আনোয়ারসহ দলটির ৫ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো এবং তাদের বিরুদ্ধে করা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান এই আদেশ দেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান নতুন এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও ৭ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে এ আদেশ দেন বিচারক।
এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো অপর তিনজন হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। এদিকে নির্বাচনের আগে বিএনপির এসব হেভিওয়েট নেতাদের আর মুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন না বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যা্ডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াও। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আগামী ২৯ ডিসম্বর হাইকোর্টের আদেশে ওই ৫ নেতার জামিনে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সরকার নতুন করে এই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর নাটক করেছে।’
তিনি বলেন, ‘রিমান্ড শুনানির জন্য ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করার কারণে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, ৫ জানুয়ারি সরকারের জনবিরোধী একতরফা নির্বাচনের আগে আর তারা মুক্তি পাচ্ছেন না।’ হরতালে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ওই নেতাদের জামিন আবেদন প্রথমে সিএমএম আদালত ও পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে নাকচ হয়। এরপর তারা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
এদিকে হাইকোর্টে ওই ৫ নেতার জামিন শুনানি শেষ হলেও আদেশের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে হাইকোর্টের আদেশে বিএনপির ওই নেতারা জামিন পেলেও মতিঝিল থানার হেফাজতের সহিংসতায় পুলিশের এসআই শাহজাহান নিহত হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর ও রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য হওয়ায় ৬ জানুয়ারির আগে মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই মওদুদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাসের।
গত ১৪ নভেম্বর হরতালে সহিংসতার অভিযোগে মতিঝিল থানার পৃথক দু’টি মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম। উল্লেখ, গত ৮ নভেম্বর প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ফেরার পথে সোনারগাঁওয়ের সামনে থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে মওদুদকে আটক করা হয়। একই সময় কাওরান বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয় এমকে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়াকে। এরপর রাত দেড়টায় গুলশান থেকে আটক করা হয় আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাসকে।
Discussion about this post