নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আগামীকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাচ্ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এতে নেতৃত্ব দেবেন ফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন।
এছাড়া বেশকিছু বিষয় নিয়ে ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করে ইসিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানানো হবে বলেও জানান ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ফ্রন্টের এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে ব্যবস্থাগুলো নেয়া উচিত সেগুলো নিতে ব্যর্থ হয়েছে। রেওয়াজ ছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণা করা, কিন্তু তা করা হয়নি। আমরা এতে অত্যন্ত হতাশ হয়েছি।’
‘আমরা মনে করছি, নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আগ্রহী নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে দাবিগুলো ছিল, আলোচনা করে এক মাস তফসিল পিছিয়ে দেয়া, এটা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য যে, যে সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, সেই সময় বড়দিনের ছুটি থাকবে। এদিনে আমাদের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন, তারা উৎসবের আমেজে থাকেন। এটা তাদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান। এছাড়া নববর্ষ আসছে সেটাও একটা বড় অনুষ্ঠান।’
‘তখন যে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন, সেই সুযোগও থাকবে না যদি নির্বাচন ওই সময়টাতে (৩০ ডিসেম্বর) হয়। এছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে, সেগুলো নিয়ে আগামীকাল দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আমরা আলোচনা করার জন্য যাবো।’
‘ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দও থাকবেন। আমরা আশা করবো, আমাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।’
ফ্রন্টের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে, আগামী ১৬ তারিখে ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জাতীয় প্রিন্টিং মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে বসবেন’ বলেও মির্জা ফখরুল জানান।
চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এদিন জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত আছেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
Discussion about this post